বুক রিভিউঃ রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি
বুক রিভিউঃ৩
বইয়ের নামঃরবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি
লেখকঃমোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন
#পুরো_স্পয়লার_আছে_লেখাতে।নিজ দায়িত্বে পড়বেন।
এই বইটি "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি" এর ২য় পার্ট।২য় পার্টের নামটি থেকে শুধু "খেতে" শব্দ টি বাদ দেওয়া হয়েছে।বোঝায় যাচ্ছে খাওয়া দাওয়া পর্ব হয়তো শেষ,অন্যকিছু অপেক্ষা করছে এই বইতে।
এই বইতেও সেই এক ই রকম ঘটনা,নূরে ছফা আর মুশকানের চোর পুলিশ খেলা।কিন্তু এখানে চোর অনেকটা "Dhoom 3" এর মত,সমানে সমানে লড়াই চোর পুলিশের।কে কার চেয়ে বুদ্ধির তিক্ষ্ণতায় এগিয়ে থাকবে তার লড়াই।
কিন্তু এই বইতে কিছু কিছু জায়গা তে নূরে ছফা কে বেশ বিরক্তিকর লেগেছে আমার।মুশকানের মতো ক্রিমিনাল কে ছফা ধরতে চায়, কিন্তু মাঝে মাঝেই মনে হয়েছে সে খুব ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে।যেমন ডাক্তার আসকার কে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় যখন আসকার একটু অসুস্থ হয়ে যান(আসলে ভান করেছেন)ছফা তার কথা সহজেই বিশ্বাস করে নেয়,যেখানে আসলাম দেখেই বুঝে ফেলে যে ডাক্তার আসকার আসলে অসুস্থতার ভান করছেন।
আবার যখন সুস্মিতা কে ছেড়ে দেওয়ার জন্য মুশকান ছফাকে কে এস খান আর আইনস্টাইন কে মেরে ফেলার হুমকি দেয়,সেক্ষেত্রেও নূরে ছফার খুব সহজেই পরাজয় বরণ করে নিতে দেখা যায়।এই সময়ে পিএম অন্য পন্থা না নিলে নূরে ছফা মুশকানের কথা অনুযায়ী ই কাজ করতো অবশ্য পরে পিএস ও আবার মুশকানের কথা অনুযায়ী কাজ করে বসে বোনের প্রাণের জন্য।যদিও ছফার আর কিছু করার ছিল না,কিন্তু তবুও মনে হয়েছে ছফা খুব দ্রুত ই মুশকানের কথা মেনে নিচ্ছে।
আবার আর একটা ঘটনা আছে,যেখানে সুস্মিতা আসলামকে মেরে ফেলে এবং এখানে বলা হয়েছে সে আসলামের শরীর থেকে কোন একটা অঙ্গ কেটে নেয়।তার কাছে বা আসলামের কাছে তো কোন ধারালো অস্ত্র ছিল না কিন্তু সে শরীর থেকে অঙ্গটা কাটলো কিভাবে?এই ব্যাপারটা বুঝিনি আমি।
এক রাতেই এতো ঘটনা ঘটে যাওয়া কেমন স্বাভাবিক লাগছিল না।
১ম পার্ট শেষ করার পর অনেক আগ্রহ নিয়ে শুরু করেছিলাম "রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি"।
কিন্তু কেন জানি কিছুদূর পড়ার পর থেকে আগ্রহ পাচ্ছিলাম না।১ম পার্ট টি যেমন প্রায় এক নিঃশ্বাসে শেষ করেছিলাম, ২য় পার্ট টা পড়তে আমার ততটাই বিরক্ত লেগেছে,সেজন্য সময় নিয়ে পড়েছি।এর মধ্যে অন্যান্য বই পড়েছি,কারণ কেন জানি মনে হচ্ছিল লেখক অকারণে কাহিনী টেনে বড় করছেন।বইয়ের মাঝের পর থেকে বেশ থ্রীল আছে এবং ঘটনা একদম ই অন্য দিকে মোড় নিয়েছে।এমন টা হবে ভাবিনি।একদম ই হতাশ হয়েছি।বারবার মুশকান ধরা পড়েও পড়ছে না!!!আর একজন এতো ভাল ডিবি অফিসারের কাছে সব ধরনের সুবিধা থাকা সত্ত্বেও একজন আসামীকে ধরতে পারছে না!!বিষয় টা বেশি ই অদ্ভুত লেগেছে!!!
৩য় বইটির জন্য অপেক্ষায় আছি।
লেখকঃ জোহরা ফাতেমা নিশাত

মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন